অনুমতি মেলেনি বাংলাদেশে, ‘শনিবার বিকেল’ উপভোগ করলেন কানাডার দর্শকেরা

 

বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড শনিবার বিকেল সিনেমা মুক্তির অনুমতি না দিলেও থেমে নেই সিনেমাটির প্রদর্শনী  । বাংলাদেশে মুক্তি না পেলেও সিনেমাটি দেখানো হয়েছে কানাডায়  ।

সেখানকার বাঙালি দর্শকরা দেখেছেন সিনেমাটি। সেই প্রদর্শনীর কিছু ছবি রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ফারুকী।

এর ক্যাপশনে ফারুকী লেখেন, ‘একটা ভালো শো আর দুর্দান্ত এনগেজিং কিউ-অ্যান্ড-এ যে কোনো ফিল্মমেকারের আরাধ্য। কালকে রাতে টরন্টোতে শনিবার বিকেলের শোটা ছিল এরকমই একটা শো। সেন্সর নিয়ে অপ্রয়োজনীয় এবং ক্লান্তিকর যে প্রসেসের ভিতর দিয়ে আমি যাচ্ছি, তাতে আমার মুড এমনিতেই ছিল বিক্ষিপ্ত। আপনারা আমার সেই মুডটাকে কীরকম চনমনে করে দিছেন আপনাদের কোনো ধারণা নাই। লাভ ইউ অল। ’

সিনেমাটি নিয়ে সেখানকার দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় অভিভূত ফারুকী। তিনি লেখেন, ‘সিনেমাটি আপনাদেরকে যেভাবে এনগেজ করেছে, যেরকম ভাবনা উস্কে দিয়েছে, যেরকম আবেগে স্পর্শ করেছে, তাতে আমি সত্যিই ইনস্পায়ার্ড। একটা ফিল্মমেকারের জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো অনুভূতি নাই। ’

সিনেমাটি সেন্সরে আটকে রাখা নিয়ে দর্শকদের মন্তব্য তুলে ধরে এই নির্মাতা লেখেন, ‘আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ যেমন বলেছেন, এই কাজ সেন্সরে আটকে রাখা অন্যায়, কারণ এটা আমার এখন পর্যন্ত সেরা কাজ! এটা আপনাদের বিবেচনা। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য না থাকলেও এইটুকু বলতে পারি, এটা আমার অনেক প্রিয় একটা কাজ এবং এই কাজটা কোনো কারণেই সেন্সরে আটকে থাকতে পারে না। এটা ভয়ানক অন্যায়। ’

সেন্সরে আটকে রাখার বিষয়ে ফারুকী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই পোস্টে। তিনি লেখেন, ‘যে বা যারা এটার পিছনে কাজ করেছে, আশা করি সরকার বুঝবে, এটা সরকারকেই বিব্রত করছে। তাই দ্রুতই সিনমাটাকে যেন মানুষের কাছে যেতে দেওয়া হয় এবং এ ধরনের অন্যায় কাজ যেন আর না করা হয়। ’

বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘শনিবার বিকেল’। এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, পরমব্রত, তিশা এবং অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া ফিলিস্তিনি অভিনেতা ইয়াদ হুরানি।