ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান আবারও আলোচনায় এসেছেন, তবে এবার কোনো সিনেমা নয়—কারণ তার ব্যক্তিগত জীবন। দুই ছেলের মা চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একধরনের ‘সন্তানকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা’-তে জড়িয়ে পড়েছেন, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ভার্চুয়াল তোলপাড়।
পোস্ট ও পাল্টা পোস্টের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন তারা, যেন বোঝাতে চান—কে শাকিব খানের কতটা ঘনিষ্ঠ। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শাকিব খান নিজেও। তবে এই প্রতিযোগিতা কতটা বাস্তবভিত্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে শবনম বুবলী ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। যেখানে ছবিতে দেখা গেছে, শাকিব খান তার ছেলে শেহজাদ খান বীরের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। আদরে ভরিয়ে দিচ্ছেন সন্তানকে। শাকিব ও শেহজাদের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে বুবলী সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, ‘পরিবার- যেখান থেকে জীবন শুরু হয় এবং ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না।’
বুবলীর এমন পোস্টের পর থেমে থাকেননি অপু বিশ্বাসও। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনিও তার সন্তান আব্রাম খান জয়ের সঙ্গে তার বাবা শাকিব খানের কিছু একান্ত মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
সেই ছবিগুলোর ক্যাপশনে খোঁচা মেরে অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘বাবা’ এমন একটি শব্দ, যার সাথে সন্তানের বন্ধন কথায় কথায় প্রমাণ দেওয়ার কিছুই নেই। তা-ও বাবা-ছেলের প্রতিদিনের এই খুনসুটি আর মমত্ববোধ চলতেই থাকবে আর মুহূর্তগুলো ফ্রেমে আটকে থাকবে।’
এরপরই বুবলী ও অপু বিশ্বাসের ভক্তদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে যায়। কেউ বুবলীর সমালোচনা শুরু করেন, কেউ কেউ অপু বিশ্বাসের।
এই দুজনের এমন পোস্ট চোখ এড়ায়নি শাকিব খানেরও। শাকিব খান দুজনের কাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। শাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ‘এই দুজনের একজনকেও শাকিব খান পছন্দ করেন না। বরং তাদের আচরণে শাকিব বরাবরই বিরক্ত হন। এসব ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করায় শাকিব বেজায় চটেছেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, বুবলী ও অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিব খানের মানসিক দূরত্ব শত শত মাইল দূরে। দুজন শাকিবের নিকটস্থ যতই বোঝাতে চান না কেন, শাকিব এ দুজনের কারো সঙ্গেই ভবিষ্যতে যে থিতু হবেন এ সম্ভাবনা নেই।
এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন শাকিব। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শোনা যাচ্ছে আবার নাকি বিয়ে করবেন, তাও আবার সম্বন্ধ করে, পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি ফের সংসারী হবেন?
উত্তরে শাকিব বলেন, ‘মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনো তাড়াহুড়া নেই যে নির্দিষ্ট কোনো বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিকভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মায়ের যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।’