তারকা দম্পতি অপু বিশ্বাস ও শাকিব খানের দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা সময়েই নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০১৭ সালে ছেলে আব্রাম খান জয়কে সঙ্গে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজেদের গোপন বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন অপু বিশ্বাস। তখনই শাকিব খানের সঙ্গে অতীত সম্পর্ক ও দাম্পত্য জীবনের নানা দিক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তবে এরপর তাদের সংসার আর টেকেনি।
বিয়ের সময় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন—এমন খবরও সেই সময় ছড়িয়েছিল। তবে সম্প্রতি একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার নতুন করে ভাইরাল হলে ফের আলোচনায় আসেন অপু। সেই সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবেই অপু জানান, বিয়ের পরও তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীই ছিলেন। বরং ছেলেকে ও সংসারকে রক্ষা করতে গিয়েই ক্যামেরার সামনে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছিলেন।
ওই সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, “সত্যি কথা বলতে, বিয়ের পরেও আমি আমার ধর্মেই ছিলাম। ক্যামেরার সামনে অনেক মিথ্যা বলেছি, কারণ কিছু জিনিস লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল। শুরুতে ক্যারিয়ারের জন্য, পরে আমার সন্তানের জন্য। শাকিব তখন আমার স্বামী ছিল, তার পাশে থাকা আমার দায়িত্ব ছিল।”
অপু আরও বলেন, “আমার ছেলেকে নিয়ে যখন লাইভে আসি, তখন সবাই জানতে পারে আমি বিবাহিত। অনেকে ধরে নিয়েছিল আমি মুসলমান হয়েছি, যেহেতু মুসলিম একজনকে বিয়ে করেছি। কিন্তু বাস্তবে আমি কখনো ধর্ম পরিবর্তন করিনি। হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, তা হয়নি। কাজেই আমি তখনও হিন্দু ছিলাম।”
এই সাক্ষাৎকারটি উপস্থাপনা করেছিলেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। পুরোনো সেই ভিডিও নতুন করে ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে অপুকে উদ্দেশ্য করে একটি আবেগঘন পোস্ট দেন জয়।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় অপু বিশ্বাস। ধর্ম নিয়ে মিথ্যা কথা বলা যায় না। ধর্ম নিয়ে মিথ্যে মানে তুমি একবার বিশ্বাস করছো আল্লাহকে। আরেকবার বলছো বিশ্বাস করো না। মুসলমান ভাই বোনেরা তোমার এই মিথ্যাতে কষ্ট পেয়েছে। একইভাবে তোমার ধর্মের মানুষও তাতে বিব্রত হয়েছে। ক্যারিয়ার স্বামী সন্তান সব কিছুকে ব্যালেন্স করতে গিয়ে তুমি যে মিথ্যার আশ্রয়টি নিয়েছো তা তোমাকে আশ্রয়হীন বানিয়ে দিয়েছে। তোমার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়া এই দুটোই অনেক বড় মহত্ত্বের কাজ। তুমি মহৎ হও অন্যরাও তোমার সাথে মহত্ত্বের পরিচয় দেবে।’