নিপুণের প্যানেলের সভাপতি হয়ে যা বললেন কলি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ২৭ এপ্রিল। ইতোমধ্যে প্যানেল গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নতুন প্যানেলের সভাপতি খুঁজছিলেন নিপুণ আক্তার। কারণ গত মাসে তার প্যানেলের সভাপতি ইলিয়াস কঞ্চন নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন। খুঁজে পেয়েছেন সভাপতিকে। তিনি সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি।

রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নিপুণ বলেন, আমার সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে থাকছেন মাহমুদ কলি।

মাহমুদ কলি জানান, বর্তমানে ব্যবসা নিয়েই দিন কাটে তার। পারিবারিকভাবেই ব্যবসা ছিল তাদের। সেই ব্যবসার সঙ্গে নিজস্ব ব্যবসা যোগ করে এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী তিনি। তবে মাঝে মধ্যে ভক্তদের সঙ্গে দেখা যে সম্মান তিনি পান তাতে ভীষণ ভালো আনন্দিত হন তিনি।

তিনি বলেন, এটা পৃথিবীর নিয়ম যে আমরা আসব, কিছুদিন থাকব, একদিন চলে যাব। এ জন্য একে অপরকে জায়গা দিতে হয়। আমি চলচ্চিত্রে ছিলাম। হয়তো আমি একটু আগেই চলে এসেছি। আমি যত দিন ছিলাম, সুখী ছিলাম। যতটুকু করার ছিল, করেছি। চলচ্চিত্র শিল্পের মানুষের উপকার করার, দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি সন্তুষ্ট।

 

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যে কটা দিন থাকা যায়, মানুষের উপকার করে, নিজের পরিবার, আশপাশের সবার জন্য যদি কাজ করা যায়, তবে ভালো। আমার জীবনে চাহিদা ছিল অল্প। যতটুক পেয়েছি, তাতে আমি সুখী।

এর আগে দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন মাহমুদ কলি। মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। তার প্রথম সিনেমা ‘মাস্তান’। মোট ৬১টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘গোলমাল’, ‘নেপালি মেয়ে’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘সুপারস্টার’, ‘গ্রেফতার’, ‘খামোশ’, ‘মহান’, ‘দেশ বিদেশ, ‘মা বাপ’ ইত্যাদি।

মাহমুদ কলি ১৯৯১ সালে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে সভাপতি ছিলেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এরপর একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তবে এর পরের বছরে তিনি অভিনেতা মিজু আহমেদকে নিয়ে নতুন প্যানেলে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।