সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন ফারুকী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব’-এর ট্রেলার রিলিজ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নুসরাত ইমরোজ তিশা আছেন ফ্রান্সে । এই সফরে তিশার সঙ্গে রয়েছে চার মাসের মেয়ে ইলহাম। আর তাকে দেখাশোনার জন্য সঙ্গে রয়েছেন এই অভিনেত্রীর স্বামী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। কিন্তু ‘বেবিসিটার’ হিসেবে ফারুকীর ফ্রান্স যাওয়া নিয়ে নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন।

নেটিজেনদের নানান মন্তব্যের জবাবে ফারুকী লিখেছেন “আমি অনলাইনে ছড়ানো কথাবার্তার উত্তর দেয়া বন্ধ করছিলাম অনেক আগে, কারণ এইটা হইলো সময় এবং এনার্জি নষ্টের মোস্ট প্যাথেটিক ওয়ে।
এর ভালো দিক হচ্ছে জীবন শান্ত সুন্দর হয়। আর একটা খারাপ দিক হচ্ছে, অনেক আজাইরা কথা বারবার উচ্চারিত হইতে হইতে সত্যের মতো রুপ ধারণ করে।
আজকে এই বিষয়টা নিয়া বলতেছি কারন এখানে আমার মেয়ে জড়িত। যখন আপনাকে কেউ বুঝিয়ে দিবে আপনি আপনার মেয়ের জন্য যথেষ্ট করছেন না, তখন কেমন রাগ লাগতে পারে বলেন?

“বেবিসিটিং” কথাটার জোক নিয়া ব্যাপারটা এতোদুর গড়াইছে যে কেউ কেউ আগ বাড়াইয়া শিক্ষাও দিচ্ছে যে বাচ্চা বড় করা মায়ের একা দায়িত্ব না। আপনি পিতৃতান্ত্রিকতা থেকে বের হয়ে আসেন। আই মিন সিরিয়াসলি পিপল!!! দুনিয়াটা এক আজব জায়গা হয়ে গেছে। এখানে যে কেউ যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান দিতে পারে। আমার ইনবক্স প্রিন্ট করলে এটা মোটামুটি একটা টেক্সটবুক হয়ে যাবে।

আমাদের ঘরের ভিতর কি হয়, বাচ্চা বড় করার ক্ষেত্রে কার কি রোল- এইসব না জেনেই আমরা শিক্ষকের ভুমিকায় বসে যাই।

গাইজ, আমাদের দেশের অভিনেতা অভিনেত্রীরা হলিউড বা এমন কি বলিউডের মতোও অর্থ বা সাপোর্ট সিস্টেম পায় না। ফলে একজন অভিনেত্রী যদি সদ্য মা হয় তার জন্য কাজে ফিরতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু তিশা চায় না, সে তার কাজ কর্ম থেকে অনেক দিন দুরে থাকুক। আমিও চাই না। ফলে ওর কোনো কাজ আসলে আমি আমার কাজ বন্ধ করে ইলহামকে অ্যাটেন্ড করতে চাই। কিন্তু মুশকিল হলো প্রোডাকশনগুলো এই বাড়তি হ্যাপা নেয়ার জন্য খুব যে তৈরি তা বলা যাবে না। তারপরও কাজের বা ট্যুরের কথা আসলে, তিশা বলে, আমাদের বেবিসিটার নিতে দিতে হবে। বেবিসিটারের জন্য ভ্যান বা টিকিট বা হোটেলের ব্যবস্থা করতে হবে যতোদিন না ইলহাম কিছুটা শক্ত সামর্থ্য হচ্ছে। এবং আমি সব সময় হাসিমুখে বলি “বেবিসিটার কোটায় আমাকে ইনক্লুড করো, করে বলো আমি যাচ্ছি।”

আর বাচ্চা বড় করার দায়িত্ব মায়ের একা এটা কোথায় পাইছেন? আমার আগের লেখাটা ধরে কেউ কেউ বলছে, কেনো আপনি নিজেকে হেল্পিং হ্যান্ড বলছেন?

ভাইরে ভাই, জীবনে কিছুটা বিনয় ভালো। আমি চব্বিশ ঘন্টা বাচ্চাকে অ্যাটেন্ড করলেও সেটা বড় করতে রাজী না। আর চব্বিশ ঘন্টা অ্যাটেন্ড করলেও আমার কাছে এই মুভির স্টারিং রোল অলওয়েজ মা। বাবা কেবল সাপোর্টিং রোলের ক্রেডিটই পাইতে পারে।

ঈশ্বর আমাদের ধৈর্য দিন, আমিন।”