সিনেমা আটকে দেওয়ায় ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন রাফী

নৃশংস খুনের বাস্তব ঘটনার সঙ্গে মিল থাকার অভিযোগ তুলে পরিচালক রায়হান রাফী পরিচালিত ‘অমীমাংসিত’কে আটকে দিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড।

২৪ এপ্রিল ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চুকে দেওয়া সেন্সর বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মঈনুদ্দীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে, সিনেমাটি ‘প্রদর্শন উপযোগী নয়’। নতুন সিনেমা মুক্তিতে আটকে যাওয়ায় সেন্সরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্মাতা তার স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন প্রতিবাদও।

আরও পড়ুন: ‘অমীমাংসিত’ প্রদর্শন অযোগ্য, চারটি কারণ জানালো সেন্সর বোর্ড

নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আগামী ২৯ এপ্রিল। কিন্তু এ সিনেমা দর্শকদের সামনে ‘প্রদর্শনযোগ্য নয়’ বলে আটকে দিয়েছে সেন্সর। সেন্সরে ভালোমানের একটি সিনেমা আটকে যাওয়ায় ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাফী। লেখেন দীর্ঘ স্ট্যাটাস।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাফী ‘অমীমাংসিত’ মুক্তি আটকে দেয়া প্রসঙ্গে সেন্সরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। ফেসবুকের স্ট্যাটাসে হতাশ হয়েই লেখেন, বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব!

রাফী আরও লেখেন, ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না?

কাল্পনিক কাহিনী উল্লেখ করার পরও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।

এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে রাফী বলেন, তাহলে কি সিনেমায় কোনো মেয়ে গুম হয়ে খুন হলে তা কুমিল্লার তনুর সাথে মিলানো হবে? সিনেমায় কোনো কিশোরের লাশ নদীতে পাওয়া গেলে, তার সাথে নারায়নগঞ্জের ত্বকী হত্যাকাণ্ড মেলানো হবে?

‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, জাস্ট বিভিন্নজনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেয়াটা সত্যি দুঃখজনক!

এরপরই আফসোস করে রাফী লেখেন, সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেস্তে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।

প্রসঙ্গত, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির কাহিনি দেশে ঘটে যাওয়া রহস্যময় হত্যাকাণ্ড সাংবাদিক দম্পতি সাগর- রুনির হত্যাকান্ডের সঙ্গে মিলে যায়। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও যে হত্যাকাণ্ডের রহস্যজাল এখনও ভেদ করা যায়নি।