‘এমআর-৯’: ৭০০ কোটি টাকা আয়ের টার্গেট আজিজের

‘এমআর-৯’ সিনেমায় ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান

ঢালিউড পাড়ায় এবার আলোচনায় ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’। যেটি নির্মিত হয়েছে দেশের একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই ‘ধ্বংসপাহাড়’ অবলম্বনে। ছবিটি নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবর।

বেশ লম্বা সময় ধরে হয়েছে ছবিটির শুটিং। সেই গল্পটা না হয় একটু শোনা যাক। ২০২১ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড সংকটের কারণে ছবির শুটিং পিছিয়ে ২০২২-এর জুনে শুরু হয়। শুটিং লোকেশনে বাংলাদেশের মধ্যে ছিল রাজধানী ঢাকা, পুরান ঢাকা ও সদরঘাট। আর যুক্তরাষ্ট্রে শুটিংয়ের অংশগুলো হয়েছে লাস ভেগাস ও লস এঞ্জেলসে। সব মিলিয়ে ছবির শুটিং শেষ হয়েছে ২০২২-এর ৩০ জুনে। অবশ্য তার আগেই ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল সিনেমাটির একটি টিজার ছাড়া হয়।

২০২৩ সালের ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা পেছানো হয়। অবশেষে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের চলচ্চিত্রটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ২০২৩-এর ২৫ আগস্ট-এ।

নাম ঘোষণার পর থেকেই ছবিটি নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। কারণ, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার মতে, এই ছবির বাজেট ৮৩ কোটি টাকা! যা ঢালিউডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আবার ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র তথা হলিউডের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার। অভিনয়েও আছেন মার্কিন শিল্পীরা।

বলা বাহুল্য, ঢালিউডের প্রভাবশালী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত প্রজেক্ট ‘এমআর-৯’। তাই প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই।

বুধবার (২ আগস্ট) নিজ বাসায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।

যেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্স অফিস টার্গেট ৭০০ কোটি। এর মধ্যে নেট আয় টার্গেট ৩০০ কোটি। ইতোমধ্যে আমরা আমেরিকার একটি ওটিটির সঙ্গে ১০০ কোটি টাকায় রাইটস বিক্রির কথা বলে রেখেছি। এছাড়া নানা জায়গা থেকে আমরা আয় করবো। আর বাংলাদেশ থেকে আমাদের টার্গেট ৫ কোটি টাকা নেট আয়ের।’

তার মানে আজিজের কথায় এটা স্পষ্ট, ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ সিনেমাটির আয়ের বড় অংশ দেশের বাহিরে থেকেই উপার্জন করার লক্ষ্য প্রযোজনা সংস্থার।

প্রসঙ্গত ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবর। যেখানে মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যাবে এবিএম সুমনকে। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান।

এছাড়া হলিউড অভিনেতাদের মধ্যে আছেন ফ্র্যাংক গ্রিলো, মাইকেল জাই হোয়াইট, নিকো ফস্টার এবং ভারতের ওমি বৈদ্য। বাংলাদেশি অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে মুক্তি পাবে ‘এমআর-৯’।