মুক্তির এক মাস: কত টাকার টিকিট বিক্রি হলো চার সিনেমার

এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয়টি সিনেমার মধ্যে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে চারটি ছবি—মেগাস্টার শাকিব খানের বরবাদ, আফরান নিশোর দাগি, সিয়াম আহমেদের জংলি এবং মোশাররফ করিমের চক্কর ৩০২। মুক্তির আগেই ছবিগুলো নিয়ে দর্শকের মধ্যে ছিল ব্যাপক আগ্রহ। আর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর সেই উন্মাদনার ছিটেফোঁটাও কমেনি—ছবিগুলোর প্রতিটিই উপভোগ করেছেন দর্শকেরা, কেউই হতাশ হননি।

মুক্তির প্রায় এক মাস পার হলেও দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলে এখনো দর্শকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঢাকার মাল্টিপ্লেক্স হোক বা মফস্বলের হল—সবখানেই দর্শকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরে থেকেও এসেছে দারুণ সব খবর। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং ওশেনিয়ার প্রেক্ষাগৃহগুলোতেও ছিল একই চিত্র। অনেকেই বরবাদ ও জংলি–র টিকিট না পেয়ে হল থেকে ফিরে গেছেন।

এই চার সিনেমার সাফল্য নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখন স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল বেড়েছে আয়ের পরিসংখ্যান ঘিরে। সদ্য প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ঈদের ২৯ দিনে এই চার ছবির সম্মিলিত টিকিট বিক্রির পরিমাণ ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
সোমবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা যায়—

মেহেদী হাসান পরিচালিত বরবাদ ছবিটির টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা

শিহাব শাহীনের দাগি আয় করেছে ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা

এম রাহিম পরিচালিত জংলি বিক্রি করেছে ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার টিকিট

শরাফ আহমেদ জীবনের চক্কর ৩০২ আয় করেছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা

প্রযোজনা খরচের দিক দিয়েও প্রতিটি ছবিই নিজেদের সফলতার প্রমাণ দিয়েছে। বরবাদ ছবির বাজেট ছিল ১৫ কোটি টাকা, অন্যদিকে জংলি ও চক্কর ৩০২ নির্মাণে খরচ হয়েছে সাড়ে ২ কোটিরও কম। অর্থাৎ বাজেটের তুলনায় প্রত্যেকটি ছবি লাভের মুখ দেখেছে।

দেশের বাইরের বাজারে ছবিগুলোর টিকিট বিক্রির হিসাব এখনও সম্পূর্ণ পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

দর্শকের উচ্ছ্বাস ও বক্স অফিস সাফল্যে ভীষণ সন্তুষ্ট ছবিগুলোর প্রযোজক ও পরিচালকরা। তারা মনে করছেন, এই অর্জন বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য একটি নতুন আশার বার্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.