‘ছড়ানো সব কথাই আমার বলা নয়’

আলোচিত ও বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল সম্প্রতি ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে দীর্ঘ সাত মাস ধরে ঢাকার ডেমরার একটি বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন নোবেল। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয় এবং সময়ের সঙ্গে তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে দেখা করার পর নোবেল তাকে ‘স্টুডিও দেখানোর’ কথা বলে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান। সেখানেই ছাত্রীটিকে আটকে রেখে তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয় এবং নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ধর্ষণ করা হয়। এমনকি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলও করা হয়।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে নোবেলকে এক নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাতে দেখা যায়। ভিডিও দেখে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার তাকে শনাক্ত করেন এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। এরপর ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে। তবে অভিযানের সময় নোবেল পালিয়ে যান। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, এই ঘটনার পর মুখ খুলেছেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, তার নামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো অনেক বক্তব্যই ভ্রান্ত ও উদ্দেশ্যমূলক। তিনি বলেন, ‘এই মোবাইল ও প্রযুক্তির যুগে কাউকে সাত মাস ধরে জোরপূর্বক আটকে রাখা বাস্তবতাবিরুদ্ধ ও হাস্যকর।’

এর আগে এক গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তিনি জানান, ‘নোবেলের সঙ্গে আমার অনেকদিন দেখা না হলেও ফোনে কথা হতো। নেশাগ্রস্ত একজন মানুষের পক্ষে সাত মাস ধরে কাউকে আটকে রাখা সম্ভব বলে আমি মনে করি না।’

তবে সালসাবিল জানান, যেহেতু ধর্ষণের মামলা হয়েছে, তাই আদালতেই প্রমাণিত হবে কার কথা সত্য, কারটা মিথ্যা। সে অনুযায়ী তিনিও অপেক্ষা করবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.