‘নাটকটি আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে’

বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ অহনা রহমান। বিশেষ করে কমেডি ঘরানার নাটকে তার উপস্থিতি বরাবরই চোখে পড়ে। দর্শকের আগ্রহের কারণে ইউটিউবভিত্তিক নাটকে তিনি নিয়মিত অভিনয় করছেন। নির্মাতারাও তার নামটি বিবেচনায় রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ তালিকায়।

সাম্প্রতিক ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া বেশ কয়েকটি নাটকে দেখা গেছে অহনাকে। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ‘কেনা জামাই’। নাটকটি দর্শকপ্রিয়তার দৌড়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে। বিনোদনের পাশাপাশি এতে রয়েছে সামাজিক বার্তা। হাস্যরসের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে কথা এবং বিদেশগামীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান।

নাটকটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন লিমন আহমেদ। পরিচালনা করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। অহনার বিপরীতে এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত। এছাড়াও অভিনয়ে ছিলেন—শেলি আহসান, আমরান হাশও, ফেয়ারারি অমিথ, ইমরান হাসু, তাবাসসুম মারিয়া, সুচনা শিকদার, রুহুল আমিন, আল-আমিন জমাদ্দার, মো. জামিল হোসেন ও তুহিন খান প্রমুখ।

নাটকটি নিয়ে অভিনেত্রী অহনা রহমান বলেন, “শিল্পীদের অনেক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়। সেই জায়গা থেকে ‘কেনা জামাই’ নাটকটি আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। নাট্যকার চমৎকার সংলাপ লিখেছেন, যা দর্শকের কাছে নাটকটিকে উপভোগ্য করে তুলেছে। নির্মাতা তার দক্ষতা দিয়ে পুরো কাজটি খুব ভালোভাবে সাজিয়েছেন। আর রাশেদ সীমান্তর সঙ্গে আমার অনেক নাটক রয়েছে, তবে এটি দর্শকের কাছে বিশেষ জায়গা করে নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।”

নির্মাতা জিয়াউদ্দিন আলম বলেন,
“নাটকে হাস্যরস থাকলেও এতে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাস্তব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যৌতুক প্রথা যে একটি অভিশাপ, সেই বার্তা দিতে চেয়েছি। তেমনি অনেক মানুষ বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নে দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যান—এই বিষয়টি নিয়েও নাটকে সচেতনতামূলক বার্তা রয়েছে।”

‘কেনা জামাই’ শুধুই একটি কমেডি নাটক নয়, বরং এর প্রতিটি মুহূর্তে লুকিয়ে আছে দর্শকের জন্য চিন্তার খোরাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.