‘ সাম্প্রতিক সময়ে ভয়ঙ্কর রূপে ফিরে এসেছে এই দুষ্কর্ম’

দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক মানসম্মত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এতে দর্শকদের হলে ফেরার আগ্রহও বাড়ছে। একসময়ে যেখানে প্রেক্ষাগৃহগুলো ছিল দর্শকশূন্য, এখন সেখানে প্রাণ ফিরে আসছে। তবে এই উন্নয়নযাত্রায় নতুন এক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরোনো এক অভিশাপ—পাইরেসি।

কিছুদিন আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পাইরেসির রাশ কিছুটা টেনে ধরা গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ভয়ঙ্কর রূপে ফিরে এসেছে এই দুষ্কর্ম। চলতি বছরের দুই ঈদে মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ সিনেমাই এখন পাইরেসির শিকার। শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ ও ‘বরবাদ’, আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’, সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’ এবং মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’—সবগুলোই প্রেক্ষাগৃহে চলার সময়েই ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অনলাইনে, থার্ড পার্টি সাইটে।

এমন পরিস্থিতিতে নিজের সিনেমা ‘চক্কর ৩০২’-এর পাইরেসি হওয়ায় ভীষণ ক্ষুব্ধ নির্মাতা ও অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি উগড়ে দিয়েছেন নিজের হতাশা ও ক্ষোভ।

জীবন লিখেছেন, ‘পাইরেসি বন্ধ করতে না পারলে কয়েকটা সিনেমা হয়তো আলাদা আলাদা ব্যবসা করবে, কিন্তু গোটা ইন্ডাস্ট্রি কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আমি সবকিছু দিয়ে সিনেমা বানাব, আর কেউ শুধু পাইরেসি করে টাকা কামাবে—এটা হতে পারে না!’

তিনি আরও লেখেন, ‘পাইরেসি এক ধরনের মহামারি, এক ধরনের যুদ্ধ। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা ৭১-এ জয়ী হয়েছি, কোভিডও জয় করেছি—পাইরেসির বিরুদ্ধেও জয় আসবে। রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।’

সবশেষে নিজের ক্ষোভের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে জীবন লেখেন,
‘আপনাকে অন্তত একবার বলতে হবে—আমি পাইরেসির পক্ষে নই। ধর্ষকের শাস্তি যদি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, তাহলে পাইরেসির শাস্তিও মৃত্যুদণ্ড হোক! কারণ পাইরেটরা আমাকে, আমার সিনেমাকে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ধর্ষণ করছে!’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.