ইভ্যালি কিভাবে চলতো তা বিস্তারিত জানতেন না তাহসান

সাদ স্যাম রহমান নামে একজন ইভ্যালির গ্রাহক মামলা করেছেন তাহসান-মিথিলা-ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে । রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন অভিযুক্তরা । ‘ফেস অফ ইভ্যালি’ হিসেবে যুক্ত ছিলেন তাহসান । সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি।

মামলার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তাহসান জানান, আমি বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি জানি মামলা তদন্ত করা হলে আমার কোনো দোষ পাওয়া যাবে না। আমি কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত না৷ আমরা তো ব্যবসায়ী না, শিল্পী। একটা কম্পানি কীভাবে চলছে না চলছে সেটার বিস্তারিত দূর থেকে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। সারা পৃথিবীতেই তারকারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারক হিসেবে কাজ করে থাকেন। তারা কিন্তু কম্পানির মালিক না। সুতরাং এর দায়ভারও তাদের ওপর বর্তায় না। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর আমি যখন আস্থা রাখতে পারছিলাম না, তখনই কিন্তু বের হয়ে চলে আসছি।’

গত ৭ মাস ধরে মানসিকভাবে, আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান তাহসান । মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি । বর্তমানে তাহসান কনসার্ট করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।