চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন, যা বললেন সভাপতি প্রার্থী কলি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভালো। আনন্দঘন পরিবেশে, সৌহার্দপূর্ণভাবে যাতে ভোটগ্রহণ শেষ হয় এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এখন পর্যন্ত খুবই সুন্দর পরিবেশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি সবার জন্য ভালো।

আরও পড়ুন:

পুরো প্যানেলসহ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মাহমুদ কলি। তার ভাষ্য, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আশা করছি চলচ্চিত্রের মানুষেরা সুচিন্তিত মতামত দিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলকে জয়যুক্ত করবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মাঝে এক ঘণ্টা দুপুরের খাবারের বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এরপর গণনা শেষে আজই ফলাফল প্রকাশ।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয় জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো— মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।

দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে, মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন ৫০ জন। জায়েদ-মিশা প্যানেল ক্ষমতায় থাকাকালে অনেকের ভোটাধিকার বাতিল হয়েছিল। এর পর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল বিজয়ী হয়ে এলে উচ্চ আদালত থেকে ১০৩ জন ভোটাধিকার ফিরে পান। নতুন ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া ১৫৩ জন ভোটার এবার নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।