নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে কড়া নিরাপত্তা

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পুরো এফডিসিজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এফডিসির নিরাপত্তার স্বার্থে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ বিএফডিসির বিভিন্ন ইউনিট সদস্যদের নিজ নিজ সমিতির পরিচয়পত্র ছাড়া ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে আজও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয় জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো— মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।

দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে, মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন ৫০ জন। জায়েদ-মিশা প্যানেল ক্ষমতায় থাকাকালে অনেকের ভোটাধিকার বাতিল হয়েছিল। এর পর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল বিজয়ী হয়ে এলে উচ্চ আদালত থেকে ১০৩ জন ভোটাধিকার ফিরে পান। নতুন ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া ১৫৩ জন ভোটার এবার নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.