দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে ‘পদ্মাপুরাণ’

 

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তরুণ নির্মাতা রাশিদ পলাশের সিনেমা ‘পদ্মপুরাণ’। রায়হান শশীর লেখা চিত্রনাট্যে নির্মিত ‘পদ্মপুরাণ’ মুক্তির প্রথম দিনই সব শ্রেণির দর্শকদের প্রশংসা পাচ্ছে। নিজ হাতে বানানো কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। তাই সবাইকে অনুরোধ করেছিলেন সিনেমা হলে গিয়ে ‘পদ্মপুরাণ’ দেখতে । আজকাল এভাবে খুব কম নির্মাতাকে দেখা যায় যারা নিজের কাজের প্রতি এমন আত্মবিশ্বাসী । দর্শক তার প্রতি আস্থা রেখে ছুটে গেছে প্রেক্ষাগৃহে । পদ্মপুরাণ দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন বেশির ভাগ দর্শক ।

পদ্মাপাড়ের মানুষের সংগ্রামী জীবনকে ধারণা করে ছবিটির মুল গল্প এগিয়েছে। সিনেমা গল্প যেমন প্রশংসিত হয়েছে তেমনি দর্শক সমালোচকদের প্রশংসা ভাসছেন মূল চরিত্রে অভিনয় করা সাদিয়া মাহি । সাদিয়া মাহি এ সিনেমায় নিজের চরিত্রে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, পদ্মপুরাণ আমার জন্য স্পেশাল। এটা আমার জন্য প্রথম জার্নি ছিল। কারণ এই সিনেমা জন্য দিনের পর দিন পরিশ্রম করেছি আমার মাথার চুল ফেলে দিয়েছি।আর সিনেমাতে আমি কোনো মেকআপ ব্যবহার করিনি। একটা সময় কানে শুনতেও পাচ্ছিলাম না। চার বছরের লম্বা একটা সময় জড়িয়ে আছে সিনেমাটি আমার জীবনের সঙ্গে।আমি এই ছবির মাধ্যমে লড়াই করা শিখেছি।জীবনকে নতুন করে দেখতে শিখেছি। সবসময় ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হয় না। এই ছবিতে অভিনয় করে আমি আত্মতৃপ্তি পেয়েছি। কাছে এটি অনবদ্য একটি সিনেমা।

সাদিয়া মাহি আরও বলেন, সিনেমাটি যখন দর্শকেরা হলে দেখছিলেন তখন আমি পরিচালক পলাশ ভাইয়ের সঙ্গে হলের এক পাশে দাঁড়িয়ে, তাদের রেসপন্স দেখছিলাম। প্রথম যখন শুনলেছিলাম কানে,যে সিনেমা ভালো হয়েছে এমন কথা,সেই মূহুর্তের অনুভূতি কোনো ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবো না। তখন মনে হয়েছে চার বছরের লম্বা জার্নিটা কিছুটা হলেও সফল হয়েছি আমি। আমার প্রথম সিনেমা যারা হলে এসে দেখেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ এবং যারা দেখেনি তাদেরকে বলবো সিনেমাটি দেখুন হলে এসে আশা করি খারাপ লাগবে না। শুধু সাদিয়া মাহি না, অনবদ্য অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন হেদায়েত নান্নু ।

চারবছরের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফলাফল যেনো হাতে পেলেন পরিচালক রাশিদ পলাশ । সিনেমা নিয়ে সবার ইতিবাচক মন্তব্য দেখে রাশিদ পলাশ জানান সিনেমা শুধু বিনোদনের জন্য না জন্য নির্মাণ করিনি। পদ্মার পাড়ের মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির লড়াইয়ে গল্প।আমি বিশ্বাস করি অনেক ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে এই সিনেমা। সেই জায়গাটাই পর্দায় দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমি কোনো মতামত দেয়ার পক্ষে না। আমি একটা ওপেন এন্ডিং রাখতে চেয়েছি দর্শক যে যার মতো করে ভেবে নেবে।

পূণ্য ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক গোলাম রাব্বানী। আর ‘পদ্মাপুরাণ সিনেমায় একটি থিম সং কম্পোজিশন করেছেন চিরকুট ব্যান্ডের সদস্য জাহিদ নিরব।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.