রবীন্দ্রনাথের গল্প অবলম্বনে ধারাবাহিক ‘মধ্যবর্তিনী’

দীপ্ত টিভিতে ১৪ জুলাই,শনিবার শুরু হতে যাচ্ছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘মধ্যবর্তিনী’।  সপ্তাহে ছয়দিন শনি-বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৮টায় (রিপিট) প্রচার করা হবে এটি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধ্রুপদী গল্প ‘মধ্যবর্তিনী’ থেকে অনুপ্রাণিত ধারাবাহিকটি রচনা করেছেন আহমেদ খান হীরক। পরিচালনা করেছেন রাজু খান। অভিনয় করেছেন সোহানা সাবা, আনিসুর রহমান মিলন, শারমিন আঁখি, ডলি জহুর, শতাব্দী ওয়াদুদ, কল্যান কোরাইয়া, নাবিলাসহ আরো অনেকে।

নির্মাতা রাজু খান বলেন, ‘এটি একটি ফ্যামিলি ড্রামা। এতে দুঃখ-বেদনা, হাসি-কান্না সবইদর্শকরা পাবে। বাংলাদেশে যদি এরকম নাটক আরো বেশি বেশি তৈরি হয় তাহলে আশা করা যায়,দর্শকরা আর বিদেশী চ্যানেলের দিকে আগ্রহী হবেন না।’

তিনি আরো বলেন, নাটকটি তৈরি করতে গিয়ে গল্প এবং নাটকের প্রয়োজনে ২১টি রবীন্দ্র সঙ্গীত নতুনকরে কম্পোজিশন করে নাটকটিতে ব্যবহার করেছি, যা দর্শকদেরকে নাটকটি দেখার ক্ষেত্রে আরোআগ্রহী করে তুলবে।

কাহিনি সংক্ষেপ

স্বামী ইমরান, শাশুড়ি আয়েশা আর ননদ মিলিকে নিয়ে শাম্মীর পূর্ণ সংসার। অপূর্ণতা যদি কিছু থেকে থাকে তবে তা একটি সন্তানের। আট বছরের দাম্পত্যে শাম্মী জেনেছে সে কোনো দিন মা হতে পারবে না। পরিবারে সন্তানের আকাঙ্খা থাকলেও শাম্মীর দিকে চেয়েই যেন সবার মুখ বন্ধ।

দীর্ঘদিন অসুস্থতার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে শাম্মী যেন এক নতুন সিদ্ধান্তে জীবনের সন্ধান পায়। যে জীবনে শুধু প্রেম আছে, কিন্তু ঈর্ষা নেই। উদারতা আছে, কিন্তু কোনো মোহ নেই। শাম্মী ঠিক করে ইমরানের আরেকটি বিয়ে দেবে সে। শাম্মীর এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করে আয়েশা-ইমরান-মিলিসহ সবাই। কিন্তু শাম্মীর জেদের কাছে সবাই হার মানে। ইমরানের মামা-মামীর পরিচিত মফস্বলের মেয়ে মৌকে শাম্মী ছোট বউ করে নিয়ে আসে নিজেদের বাড়িতে।

বাবা-মা’হীন স্বার্থপর ভাই-ভাবির কাছে বেড়ে ওঠা মৌয়ের লক্ষ্য বড় হওয়া আসলে বড়লোক হওয়া। স্বামী হিসেবে ইমরানকে মৌ ভালোবাসার সাথে যেমন গ্রহণ করে তেমনি তার বড় হয়ে ওঠার সিঁড়িও মনে করে। কিন্তু ইমরানের যে জীবন ভরে আছে শাম্মীর স্নেহ আর ভালোবাসায়, সেখানে মৌয়ের গুরুত্বই বা কতটুকু? শাম্মী ইমরানের জীবন থেকে সরে আসতে চাইলেও ঘটনাপ্রবাহ ক্রমেই প্রতিকূল হয়ে ওঠে।

একদিকে শাম্মী বাড়ি থেকে তার সমস্ত অধিকার ছাড়তে চায়, অন্যদিকে মৌ জবরদখল করে বাড়িতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ইমরানকে কেন্দ্র করে মৌ এক প্রতিযোগীতায় নামে যেন শাম্মীর বিরুদ্ধে। ধীরে ধীরে ইমরান ও বাড়ির ওপর মৌ তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে সক্ষম হয়। শাম্মীর একমাত্র আশ্রয় আয়েশা হলেও ইমরান আর তার পরিবারের হাল ধরতে শেষ পর্যন্ত এক নতুন লড়াইয়ে নামতে হয় শাম্মীকে।