somi kaisar

শমীর ‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’

শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাবাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তুলে নেওয়ার স্মৃতি এখনো তার চোখে ভাসে। তাই তিনি মুক্তিযুদ্ধ তার পরবর্তী ঘটনাকে উপজীব্য করে লিখেছেন নাটক ‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’। পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী।

নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শমী নিজে। আরও অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শর্মিলী আহমেদ, মাহফুজ আহমেদ, আজম খান এবং শিশুশিল্পী নাদীভ।

‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’ সম্পর্কে শমী কায়সার বলেন, ‘চেষ্টা করে সে গুমোট সময়টিকে তুলে আনতে। নাটকটির বেশির ভাগ ঘটনাই সত্য, এর সঙ্গে কিছু কল্পনা মিশিয়েছি। আমার নিজের পরিবার সেই সময়ে আক্রান্ত হয়েছে, সেই আবেগটাও ভালোভাবে উঠে এসেছে নাটকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ এ বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকু কখনও ভুলবার নয়। দেশবাসীকে সে সম্পর্কে জানানোর জন্যই এ প্রচেষ্টা।’

‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, একাত্তরে পাকিস্তানিরা বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে যাওয়ার সময় শমীর বাবাকেও ধরে নিয়ে যায়। এরপর তার বিয়ে হয় ধনী পরিবারে। যারা কিনা ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-গহনার বাইরে আর কিছুই চিন্তা করে না। শমীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তিযুদ্ধকে উপেক্ষা করে উল্টো ‘গণ্ডগোল’ বলে আখ্যায়িত করে। এদিকে তার শ্বশুর ছিল রাজাকার। প্রতি বছর এ দিনেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়িতে নানা রকম পার্টি করে। তবে তার স্বামী সব সময় তার পাশে থেকে সহযোগিতা করে।

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নাটকের গল্পের পাশাপাশি শমীর অভিনয়েরও প্রশংসা করেছেন। তার মতে, ডিসেম্বরে ১৪ তারিখের আবেগকে বেশ ভালোভাবে তুলে ধরবে ‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’। সেদিন চ্যানেল আইয়ে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে নাটকটি দেখানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.