হুলুতে বাংলাদেশী কনটেন্ট নির্মাণ নিয়ে যা বললেন ফারুকী

যুক্তরাষ্ট্রের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম “হুলু”র জন্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কনটেন্ট তৈরি করেছেন নুহাশ হুমায়ূন। কনটেন্টটির নাম শিগগিরই হুলু আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রজেক্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী  ।
ফারুকী লেখেন “বিমান বন্দরে বসে ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে দুই দিনের আগের নিউজ নিয়ে দেরিতে ভাবনাঃ
নুহাশের হুলু’র জন্য প্রজেক্ট করা একটা এক্সাইটিং নিউজ, কিন্তু সারপ্রাইজিং না। আপনারা যদি ওর সাম্প্রতিক কাজ খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, ও বাংলাদেশের ফিল্মমেকারদের মধ্যে সম্ভবত প্রথম যে অতিপ্রাকৃত জনরার গল্প ঠিকঠাক সেন্সিবিলিটি নিয়ে ডিল করছে। এর আগে আমার মনে হয়না এই জনরাতে বলবার মতো কোনো কাজ হইছে। আমি মশারি দেখি নাই এখনো। কিন্তু আমার কাছের এবং দুরের মানুষদের কাছ থেকে যা শুনেছি তাতে সেখানেও সে কার্যকর টেনশন আর ফিয়ার উৎপাদন করে গল্পটা বলছে। অতিপ্রাকৃত গল্পের ক্ষেত্রে এই জিনিসগুলা প্রপারলি মেনটেন করা খুবই ইমপরট্যান্ট। মশারিই ওকে হুলু পর্যন্ত নিয়ে গেছে বলা যাইতে পারে। শর্ট ফিল্মটা সাউথ বাই সাউথ ওয়েস্টে পুরস্কার ছাড়াও ওকে আমেরিকান ট্যালেন্ট এজেন্সী পর্যন্ত নিয়ে গেছে। আমি বলতেছি না সবার কাজে আমেরিকান সেন্সিবিলিটি থাকতে হবে। আমি বরং উল্টোটাই বলবো। ফরাসী স্কুল সহ দুনিয়ার বহু স্কুল অব থটস আমেরিকান সেনসিবিলিটির বিপরীতে দাঁড়াইয়া ছবি করছে, এবং এখনো করে যাচ্ছে। কিন্তু নুহাশের উদাহরনটা নতুন ফিল্মমেকারদের জন্য একটা দারুন ইংগিত দিতে পারে। সেটা হলো ইউ অনিল নিড ওয়ান প্রোডাকশন টু টার্ন থিংস অ্যারাউন্ড। তুমি কোনো ঢংয়ে গল্প বলতে চাও, কোন জনরায় তোমার নিজের শক্তি খুঁজে পাও, কোন সময়কে আঁকতে চাও, এগুলা নিশ্চয়ই একান্তই তোমার। কিন্তু যে কাজটাই করো, সেটা এমনভাবে করো যেনো এটাই তোমার শেষ সুযোগ জীবনের চাকা ঘুরাইয়া দেয়ার জন্য। এমনকি সেটা যদি একটা দুই মিনিটের শর্ট ফিল্মও হয়।”
সম্প্রতি নুহাশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “মশারি” যুক্তরাষ্ট্রের হলিশর্টস চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা হরর সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে। উদীয়মান নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে অর্থ তহবিল, সহপ্রযোজনাসহ নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কানের মার্শে দ্যু ফিল্ম বাজারে অংশ নিয়েছিল ছবিটি। কানের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল “মশারি”। পরে ইন্ডিমিম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি প্রশংসিত হয়। গত মাসে কোরিয়ার একটি উৎসবে অংশ নিয়েও প্রশংসিত হয় ছবিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.