মেলায় মুশতাক-তিশার বই, যা বললেন জায়েদ খান

বইমেলায় গিয়ে গত কয়েক দিন আগে কয়েক জন তরুণের রোষানলে পড়েছেন আলোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এর পরও বইমেলায় যাওয়া বন্ধ রাখবেন না বলে জানিয়েছেন তারা। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন জায়েদ খান।

ভাইরাল হলেই তাদের লেখক বানানোর চেষ্টা করে কতিপয় প্রকাশনী। এমনটাই মনে করেন তিনি। আলোচিত এ চিত্রনায়কের মতে বই নিয়ে যারা মৌসুমী ব্যবসা করেন তাদের বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এরা লেখা নয়, এরা ব্যবসা করতে চায়।

সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি জায়েদ খান বলেন ‘শুধু খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তিশা দম্পতির সমালোচনা করলেই হবে না, আপনি খোঁজ নিন তাদের বই কারা বের করেছে। তারাও দোষী। কারণ কেউ ভাইরাল হলেই এইসব প্রকাশনী তাদের বাড়ি বাড়ি চলে যায়, নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বই প্রকাশ করান।’

তিনি বলেন, বলেন, ‘আমার পেছনে দুটা প্রকাশনী লেগে ছিল। তারা আমার বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি স্পষ্ট না করে দিয়েছি।’

জায়েদ খান বলেন, ‘তারা আমার বই কেন বের করবে? আমি কি লেখক? আমি অভিনেতা, অভিনয় নিয়ে আমার কাজ। আমাকে কেন বই বের করতে হবে। কেন আমি তাদের ফাঁদে পা দেব। আজ যে খন্দকার মুশতাক কিংবা তিশা দম্পতির কথা বলছেন। তাদেরকে লেখক বানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে লেখার কথা তারা ভাবেই না।’

জায়েদ খান আরও বলেন, ভাইরাল হলেই তাদের লেখক বানানোর চেষ্টা করে কতিপয় প্রকাশনী। আমাকে যখন একটা প্রকাশনী থেকে যোগাযোগ করলো, বললো ভাই আপনার আমরা বই বের করতে চাই। আপনি বলবেন আমরাই লিখবো।

তখন আমার রাগ লেগেছে। এ কেমন লেখক? আমি ছিলাম আর্টসের ছাত্র, মুখস্থ করেছি আর পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আমাকে তোমরা হুমায়ূন আহমেদ বানাতে চাও? নাকি আমার পরিচিতি কাজে লাগাতে চাও?’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন এটা ছিল আমাদের আবেগের জায়গা। অদ্ভুত বিস্ময় নিয়ে মেলায় যেতাম, বই কিনতাম। লেখকদের পেলে অটোগ্রাফ নিতাম।

সারপ্রাইজিং ব্যাপার ছিল সেসব। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যারা আসছে তারাও মেলায় যায়, তারা গিয়ে দেখে ভাইরালদের বই। এতে তারা কী শিক্ষা নেবে?’

Leave a Reply

Your email address will not be published.