হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতির আদেশ কেন অবৈধ নয়

নীতিমালা তৈরি না করে হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতির আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২০ এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশ কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিব, তথ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল, কাজী শোয়ায়েব হাসান ও নাজিম উদ্দিন।

পরে আইনজীবী কাজী শোয়ায়েব হাসান বলেন, ‘গত ১০ এপ্রিল বিনিময় শর্তে বাংলাদেশে উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র আমদানির জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৩ এর ২৫ এর ৩৬ (গ) ধারা অনুযায়ী জারি করা অফিস আদেশ অনুসারে অনুমতি দেওয়া হয়। এই অফিস আদেশ ও আমদানি নীতির ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ শুনানিতে বলেছি, কোনো সুনির্দিষ্ট এবং পরিপূর্ণ নীতিমালা তৈরি না করে এই ধরনের অনুমতি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য মোটেও কল্যাণকরণ নয়। হিন্দি ছবির বিপরীতে বাংলাদেশের যে চলচ্চিত্র রফতানি করা হচ্ছে তার গুণগতমান ও রফতানি করা চলচ্চিত্র ভারতে কতগুলো হলে প্রদর্শিত হলো এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসা সফল হচ্ছে কি না, এই বিষয়ে দেখভাল করার কোনো কর্তৃপক্ষ তৈরি করা হয়নি। ফলে কম মানসম্পন্ন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রফতানি দেখিয়ে ভারতের বিগ বাজেটের একটি চলচ্চিত্র বাংলাদেশ আমদানি করে কিছু ব্যক্তি লাভবান হচ্ছে। দিন শেষে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।’

আইনজীবী বলেন, ‘সদ্য আমদানি করা পাঠান, কিসি কা ভাই কিসি কা জান’র মতো চলচ্চিত্র আসার কারণে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত অনেক ছবি সঠিক সময়ে হলে প্রদর্শন করা যাচ্ছে না এবং হল মালিকরা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করতে অনীহা প্রকাশ করছেন।’

শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে নীতিমালা তৈরি না করে হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতি দিয়ে জারি করা অফিস আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২০ এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। বাণিজ্য সচিব, তথ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.