Sonavan

৭০ পেরিয়ে ‘সোনাভান’

টিভি নাটকের মন্দা অবস্থার ভেতরও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে ধারাবাহিক নাটক ‘সোনাভান’। ইতোমধ্যেই নাটকটির ৭০টি পর্ব প্রচারিত হয়ে গেছে। এতে যারপরনাই খুশি টিম সোনাভান।
 
বগুড়া থিয়েটারের মঞ্চ নাটক ‘সোনাভানের পালা’ গল্প থেকে নির্মিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটকটি। তৌফিক হাসান ময়নার মূল গল্প ভাবনায় নাটকটির কাহিনি বিন্যাস ও সংলাপ তৈরি করেছেন কাজী সুস্মিন আফসানা। নাটকটি পরিচালনা করেছেন এসএম শাহীন।
 
এটিএন বাংলায় প্রচারিতব্য এই নাটকে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, আফরোজা বানু, মীর সাব্বির, ফারহানা মিলি, শারমিন জোহা শশী, অবিদ রেহান, সাঈদ বাবু, আহসানুল হক মিনু, কল্লোল চৌধুরী, মাহমুদা মেহেরুন্নবী মাহিন, তানভীর মাসুদ, মহসিন পলাশ, নাজিরা মৌ, শ্যামল মওলাসহ আরও অনেকে। Sona van
 
পরিচালক এসএম শাহীন বলেন, ‘এই ধারাবাহিকটির গল্প অাবর্তিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়কে কেন্দ্র করে। চেষ্টা করেছি সেই সময়কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। ইতোমধ্যেই নাটকটি সবার নজর কেড়েছে। ফলে এই মুহূর্তে
এসে বিশেষ নজর দিতে হচ্ছে। তাই সবাইকে আরও বেশি করেই খাটতে হচ্ছে।’
 
সোনাভান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারমীন জোহা শশী। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি অভিনয় করছি। বেশ ভালো লাগছে। আমাদের এ নাটকে বগুড়ার ভাষায় কথা বলতে হচ্ছে। প্রথমদিকে ভাষাটি আয়ত্ব করতে সমস্যা হলেও এখন শিখে গেছি। দর্শকদেরও প্রচুর প্রশংসা পাচ্ছি। আশা করছি বাকি পর্বগুলোও ভালো লাগবে।’
Sona van
তানভীর মাসুদ বলেন, ‘খুব সুন্দর একটা গল্প। আমি এখানে ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করছি। চেষ্টা করছি নিজের সর্বোচ্চটা উপস্থাপন করতে।’
 
একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারজানা ছবি। তিনি বলেন, ‘এখানে হাসপাতালের মনোরম পরিবেশে শুটিং করছি। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। বড়কথা হচ্ছে আমরা বগুড়ার ভাষায় কথা বলছি এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের চরিত্র হয়ে কাজ করছি। পর্দায় মুক্তিযুদ্ধের অংশ হওয়া সত্যিই আনন্দের।’
 
গল্পে দেখা যায় সোনাভানরা দুই বোন, দুই ভাই। সোনা সবার ছোট। বড় ভাই হাতেম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ছোট ভাই কাশেম পড়াশুনার প্রতি অনাগ্রহী। বড় বোন তারা এস এস সি পাশ করেছে, সে পড়তে চায় কিন্তু চাচা তার বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্র খুঁজছে। সোনাভানের মা-বাবা বেঁচে নেই। তারা সবাই চাচা সব্দল এর সাথে থাকে। চাচী আয়েশা তাদের মায়ের আদরে লালন পালন করছে। চাচা গ্রামের চেয়ারম্যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হয়। কিন্তু তার বড় ভাইয়ের ছেলে হাতেম ঠিক তার উল্টো। সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রামে এসে এলাকার যুবকদের নিয়ে মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেয়। সব্দল গ্রাম রক্ষা কমিটি নামে এক সংগঠন তৈরি করে কাশেমকে ও তার কয়েকজন বন্ধুকে দায়িত্ব দেয়। সব্দল যখন জানতে পারে হাতেম মুক্তি বাহিনীতে যোগ দিয়েছে, তখন সে পরিকল্পনা করে কাশেমকে নিজ ভাইয়ের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেয়। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকের গল্প।
 
নাটকটি প্রতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার এটিএন বাংলায় প্রচারিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.