ভিসা জটিলতায় শাকিব, আটকে গেল শুটিং

গত ঈদুল আজহায় শাকিব খান ও ইধিকা পাল অভিনীত “প্রিয়তমা” সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে ব্যাপক সাড়া ফেলে। দেশের সিনেমা ইতিহাসে রীতিমত রেকর্ড গড়ে “প্রিয়তমা”। রেকর্ড করা সাফল্যের পরেই শাকিব খানকে নিয়ে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন নির্মাতা অনন্য মামুন। সিনেমার নাম ঠিক করা হয় “দরদ”।

এতে শাকিবের বিপরীতে চুক্তিবদ্ধ হন বলিউডের সোনাল চৌহানসহ আরও অনেকেই। চুক্তির পর থেকেই পরিচালক অনন্য মামুন নানা মাধ্যমে তার ‘দরদ’ নামে সিনেমার শুটিং করার কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিনেমাটির শুটিং নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। চলচ্চিত্রটির দৃশ্যায়নের সময় ঘনিয়ে এলেও শুটিংস্পটে যেতে পারছেন না শাকিব।

জানা যায়, চলতি মাসের ২০ অক্টোবর থেকে ‘দরদ’ ছবির শুটিং শুরুর কথা। সিনেমাটির দৃশ্যায়ন হবে ভারতের বেনারস ও এলাহাবাদে। ১৫ অক্টোবর ভারতে থাকার কথা শাকিব খানের; কিন্তু যেতে পারেননি তিনি।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করেন চিত্রনায়ক শাকিব। কিন্তু সময়মতো তা পাননি। তাই শুটিংয়ে উপস্থিত হতে পারেননি। ভিসা কবে পাবেন অথবা তার যাওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত।

তবে ভক্তদের এই হতাশার মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছেন সিনেমার বাংলাদেশি পরিচালক অনন্য মামুন।

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার শাকিব ভাইয়ের ফার্স্টলুক প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল কারণে করা হয়নি। এ নিয়ে শাকিব–ভক্তদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ছবির নায়ক শাকিব খান ও নায়িকা সোনাল চৌহানকে নিয়ে মুম্বাইয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠান করব। সেখানেই ফার্স্টলুক প্রকাশ করা হবে।’

ভিসা জটিলতার ব্যাপার নিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে শুটিং শুরু করতে পারবো।

পরিচালক আরও বলেন, ‘ভারতের উত্তর প্রদেশে শুটিং করতে হলে ভারতের মিনিস্ট্রি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড বোর্ড কাস্টিং দিল্লি থেকে অনুমতিপত্র নিতে হয়। ২০ অক্টোবর সেটি আমরা পেয়েছি। এই অনুমতিপত্র বাংলাদেশে মন্ত্রণলায়ে জমা দেওয়ার পর বাংলাদেশি শিল্পীদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয়ে যাবে। আশা করছি ২৬ অক্টোবর থেকে শুটিং শুরু করতে পারব।’

উল্লেখ্য, দরদ সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ভারতের এসকে মুভিজ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ, বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও কিবরিয়া ফিল্মস। এতে আরো অভিনয় করার কথা আছে বাংলাদেশের শহীদুজ্জামান সেলিম, এলিনা শাম্মী, জেসিয়া ইসলাম, ভারতের রাহুল দেব প্রমুখ। ছবিটি বাংলা, হিন্দি, তামিল, মালয়ালম—এই চার ভাষায় নির্মাণের কথা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.